আজ || রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
শিরোনাম :
  গোপালপুরে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা       ধনবাড়ি মডেল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদ ও দোয়া       গোপালপুরে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট       টাঙ্গাইল-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী শাকিল উজ্জামান       গোপালপুরে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ       গোপালপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন সালাম পিন্টু       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ       গোপালপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস পালিত       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল       গোপালপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় ১২ মামলার আসামি চাকমা জাহাঙ্গীর নিহত    
 


হৃদয়বিদারক দৃশ্য! ক্ষুধা মেটাতে মৃত মায়ের দুধ পান

নিউজ ডেস্ক : রেললাইনের পাশে পড়ে আছে মায়ের নিথর দেহ। চিরদিনের মতো শিশুকে এতিম করে মা চলে গেছেন না ফেরার দেশে। কিন্তু ১৭ মাস বয়সের অবুঝ শিশু একদমই বোঝে না সে কথা৷ তার খিদে পেয়েছে৷ আর তাই মৃত মায়েরই বুকে ঠোট দিয়ে স্তন্যপান করতে চাইছে সে৷ পারছে না৷ আবার চেষ্টা করছে৷ আপ্রাণ চেষ্টা করে জাগিয়ে তুলতে চাইছে তার মাকে৷ কিন্তু কী করে জানবে চিরঘুম থেকে মা আর কোনও দিনই জেগে উঠবে না!

এই দৃশ্য দেখে উপস্থিত জনতা দুই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। এরকমই হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সাক্ষী থাকল মধ্যপ্রদেশের দামো জেলা৷ রাজধানী ভোপাল থেকে প্রায় ২৫০ কিমি দূরের জেলার এই ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ভাইরাল৷ অনুমান করা হচ্ছে, ট্রেন থেকে কোনওভাবে পড়ে যান ওই মহিলা৷ মাথায় গুরুতর চোট পাওয়ার কারণেই তাঁর মৃত্যু ঘটে৷ কিন্তু আশ্চর্যভাবে বেঁচে যায় শিশুটি৷ সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পায় মর্মান্তিক দৃশ্য৷ দেখা যায়, মৃত মায়ের বুকের উপর উঠে স্তন্যপান করার চেষ্টা করছে শিশুটি৷ অনুমান করা হচ্ছে, পড়ে যাওয়ার পরও মহিলা কিছুক্ষণ সজ্ঞানেই ছিলেন৷ শিশুটিকে খাওয়ানোর চেষ্টা করেছিলেন সম্ভবত৷ তারপরই প্রাণ হারান তিনি৷ কিন্তু ওই অবস্থাতেই শেষবার মায়ের দুধ খাওয়ার চেষ্টা ছাড়েনি শিশুটি৷

মৃতদেহটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলে কিছুতেই মাকে ছাড়তে নারাজ ছিল মাস সতেরোর শিশুটি৷ এরপর শুরু হয় একপ্রস্থ নাটক৷ সরকারি এক হাসপাতালে তাদের নিয়ে যাওয়া হলেও, প্রথমে ভর্তি নেওয়া হয়নি৷ কেননা কেউ অ্যাডমিশন ফি হিসেবে দশ টাকাও বের করতে চায়নি৷ শেষমেশ এক ওয়ার্ড বয় টাকা দিয়ে তাদের ভর্তির ব্যবস্থা করে৷

শিশুটিকে আপাতত একটি হোমে রাখা হয়েছে৷ মহিলার পরিবারের কেউ আছে কিনা, তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ৷

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!